۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
বিশ্বকে পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে
হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা / কোভিড - ১৯ এর চাইতেও আরো মারাত্মক রোগজীবাণু জনিত মহামারীর প্রাদুর্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী করেছে এক কালের টেরোরিস্ট গোষ্ঠীর নেতা ও বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানোম গ্যাব্রিয়েসুস ।

হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড - ১৯ এর চাইতেও আরো মারাত্মক রোগজীবাণু জনিত মহামারীর প্রাদুর্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী করেছে এক কালের টেরোরিস্ট গোষ্ঠীর নেতা ও বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানোম গ্যাব্রিয়েসুস । সে কিভাবে এ ভবিষ্যদ্বাণী করল ? কোথায় থেকে এ তথ্য পেল ? আসলে কোভিড -১৯ যেমন ল্যাব দুর্ঘটনার মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়েছিল ঠিক তেমনি আগামী যে মহামারীর ভবিষ্যদ্বাণী করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান সেটাও হয়তো কোন ল্যাব দুর্ঘটনার কারণে অথবা বায়ো উইপন ( জীবাণু অস্ত্র ) হিসেবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অথবা ব্যবসায়িক স্বার্থে মহামারীর ধোঁয়া তুলে নতুন নতুন ভ্যাক্সিন ও ওষুধ বিক্রি করে বিস্তর মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বিশ্ব ব্যাপী আবার নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে পরাশক্তি এবং কর্পোরেট পূঁজিবাদী প্রতিষ্ঠান ও ওষুধ কোম্পানি সমূহ । এদের কাছে মানুষের জীবনের চাইতে টাকা পয়সা ও বস্তুবাদী স্বার্থই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় । আবার বর্তমান বিজ্ঞান, প্রযুক্তি , শিল্প ও কৃষি এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রকৃতি পরিবেশ বৈরী । এগুলো পরিবেশ দূষণ ও প্রকৃতির ধ্বংস সাধন করে বিশ্বের উষ্ণতা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে ; এরফলে বহু প্রাণী ও উদ্ভিদের বিলুপ্তি সহ উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে বরফ গলে যাওয়ার কারণে হয়তো মিলিয়ন মিলিয়ন বছর বরফের নীচে চাপা পড়ে থাকা বিভিন্ন ভাইরাস ও জীবাণু হয়তো সুপ্তাবস্থা থেকে বের হয়ে ক্রিয়াশীল হচ্ছে বা হবে অথবা নিত্য নতুন ভ্যাক্সিন তৈরির জন্য নিরীহ নিউট্রাল অনাক্রমধর্মী অসংক্রামক ভাইরাস, জীবাণু ও অনুজীবকে খুঁচিয়ে আক্রমণাত্মক ও সংক্রামক ধর্মী রোগ জীবাণুতে রূপান্তরিত করতে গিয়ে কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাওয়ায় অথবা দুর্ঘটনা ক্রমে অথবা বায়োউইপোন গ্রেডে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন কোন মহামারীর ভবিষ্যদ্বাণী করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। সে সম্ভাব্য ভবিষ্যত মহামারীর প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কারণগুলোর কোন বিবরণ ও ব্যাখ্যা দেয়া নি । আবার পরিবেশ প্রকৃতি দূষণের কারণে বহু নিরীহ ভাইরাস ও অণুজীবের মিউটেশন ঘটে সেগুলো সংক্রামক ধর্মী রোগজীবাণু হয়ে যাচ্ছে হয়তো । যা হোক সর্বনাশা বস্তুবাদী ভোগবাদী আধুনিক সভ্যতা মানব জাতিকে পরিণতিতে বেচারা বানিয়ে ছাড়বেই বা মহাবিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাবেই । আর এ গুলো হচ্ছে বস্তুবাদী মানুষের ফিতনা - ফাসাদ এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংসী কৃত কর্মেরই নিতান্ত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে নাকি মানব জাতি প্রকৃতিকে জয় করেছে এবং প্রকৃতির ওপর নাকি আধিপত্য স্থাপন করেছে বলে অনেক আধুনিক বিজ্ঞানী ও শিক্ষিত ব্যক্তি বিশ্বাস করে ও গর্বভরে বলেও বেড়ায় । অথচ কথায় আছে না অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। এরা দুই তিন শো বছরের চোখ ধাঁধানো কিছু বৈজ্ঞানিক ও প্রাযুক্তিক উন্নতি দেখে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে । হকিংএর মতে প্রকৃতি পরিবেশ গত বিপর্যয় ও দূষণ জনিত বিশ্ব উষ্ণায়ন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট নিয়ন্ত্রনিত ব্যবস্থায় জলবায়ুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে নাকি আগামী ১০০০ বছরের মধ্যেই মানব জাতি ( হোমো স্যাপিয়েন ) চির বিলুপ্ত হয়ে যাবে । আর এ মহাবিলুপ্তির সমাধান হচ্ছে হকিং - এর মতে বসবাসের অযোগ্য এ পৃথিবী থেকে মানব জাতিকে ভিন গ্রহে গিয়ে বসবাস করা । হকিং ও তার মত যারা ভাবে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণেই যদি পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায় তা হলে মানুষ কোন্ বিজ্ঞান ও টেকনোলজি ব্যবহার করে ভিন গ্রহে গিয়ে বসবাস করতে এবং মহাবিলুপ্তির হাত থেকে রেহাই পাবে ? আর যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ ভিন গ্রহে গিয়ে বসবাস করতে পারবে সে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাওয়া পৃথিবীকে মানুষ কেন পুনরায় বসবাস উপযোগী করতে পারবে না ? আর যদি তা করা সম্ভব না হয় তাহলে ঐ প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে কি ভিন গ্রহে গিয়ে মানব জাতির বসবাস করা সম্ভব হবে ? এ সব প্রশ্নের সঠিক জবাব কে দেবে? হকিং ও হকিং এর সতীর্থরা ?

যে হোমো স্যাপিয়েন ২০০,০০০ থেকে ৩০০,০০০ বছর যাবৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এত উন্নতি ছাড়াই টিকে থাকতে পারল গত তিন শো বছরের চোখ ধাঁধানো অভূতপূর্ব বৈজ্ঞানিক ও প্রাযুক্তিক এ উন্নতি দিয়ে হকিং এর ভাষায় আর মাত্র ১০০০ বছরের মধ্যে কেন এ পৃথিবী থেকে চির বিলুপ্ত হয়ে যাবে? উচিত ছিল এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির বদৌলতে পৃথিবীতে অন্তত ২ থেকে ৩ মিলিয়ন বছর হোলো স্যাপিয়েনদের টিকে থাকা ; ২-৩ মিলিয়ন বছর নয় ২০০,০০০ - ৩০০,০০০ বছর টিকে থাকা ; ২০০,০০০ - ৩০০০০০ বছর নয় ২০০০০ - ৩০,০০০ হাজার বছর টিকে থাকা ; ২০০০০ - ৩০০০০ বছর নয় অন্তত ২০০০ - ৩০০০ বছর টিকে থাকা । কিন্তু ২০০০ - ৩০০০ বছর তো দুরের কথা হকিংএর মতে মাত্র এক হাজার বছরের মধ্যেই নাকি মানব জাতির ইহ লীলা সাঙ্গ হবে । কেন এমন হবে ? আমার প্রশ্ন : তাহলে তথাকথিত আধুনিক এই বিজ্ঞান , প্রযুক্তি , শিল্প ও কৃষির কি মূল্য আছে বাস্তবে ?

এগুলো কি ছাই পাশ ছাড়া আর কিছু ? আর আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ছোটদের বিজ্ঞান বিচিত্রা অনুষ্ঠানে ড : আবদুল্লাহ আল - মুতি শরাফুদ্দীনের মত ব্যক্তিরা দাঁত মুখ খিচিয়ে গর্ব দম্ভ ভরে চিবিয়ে চিবিয়ে বলত : বিজ্ঞান আজ প্রকৃতিকে জয় করেছে !!! একেই বলে অল্প বিদ্যা অত্যন্ত ভয়ংকরী । আজ আবদুল্লাহ আল - মুতি শরফুদ্দিন বেঁচে থাকলে তাকে প্রশ্ন করা যেত : আপনি কি ভাবে এ কথা বলছেন অথচ আপনার গুরু মহাশয় স্টিভেন হকিং বলছেন ভিন্ন কথা যে আর নাকি ১০০০ বছরের মধ্যে মানবজাতি প্রকৃতি পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় জনিত বিশ্ব উষ্ণায়ন, কৃত্রিম ভাবে তৈরি জেনিটিক্যালি ভাইরাস ও পারমাণবিক যুদ্ধের কারণে মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে রয়েছে । তিনি অক্সফোর্ড ইউনিয়নে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছিলেন : " আমি মনে করি না যে ভঙ্গুর এ পৃথিবী থেকে পালাতে না পারলে আমরা ( মানব জাতি ) আরও ১০০০ টিকে থাকতে পারব ! " তিনি মনে করেন : " পৃথিবীর পরিবর্তে অন্য কোন গ্রহে নিবাস গড়ে তুলতে পারলে মানুষের টিকে থাকার সুযোগ আছে । " তিনি আরও বলেছেন : ভবিষ্যতে আমরা চালক বিহীন গাড়িসহ এমন একটা রোবট নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব দেখব যেখানে আমাদের সন্তানেরা জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়বে । ( দ্র : যুগান্তর , ১৭- ১১- ২০১৬ )

স্টিভেন হকিং এর বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে আরো প্রভূত বৈজ্ঞানিক ও প্রাযুক্তিক উন্নতি সত্ত্বেও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বংশধরেরা জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হবে না বলেই তিনি ভিন গ্রহে গিয়ে মানব জাতিকে বসবাস করার পরামর্শ দিয়েছেন ; আর পৃথিবীর পরিবর্তে অন্য গ্রহে পালাতে না পারলে তাঁর বিশ্বাস মানব জাতি পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবে না!!! মানুষ তার আধুনিক উন্নত শিল্প দিয়ে পৃথিবীর প্রকৃতি পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে যা সে ঠিক , সংস্কার ও সংশোধন করতে পারবে না তার এমনকি অত্যধিক উন্নত বৈজ্ঞানিক ও প্রাযুক্তিক জ্ঞান দিয়েও !! অগত্যা পৃথিবী ছেড়ে ভিন গ্রহে গিয়ে বসবাস করা ছাড়া তার সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না হকিং এর মতে । আসলে ভিন গ্রহে গিয়ে মানব জাতির বসবাস করার যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে কেন সে সেই যোগ্যতা ও জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এ পৃথিবীকে কেন ঠিক করতে পারবে না ? আর ভিন গ্রহে গিয়ে বসবাস করার চেয়ে পৃথিবীকে ঠিক ও পুনরায় বসবাসযোগ্য করা অনেক সহজ । আর সহজটাই যদি সে না পারে তাহলে ঐ কঠিনটা সে পারবে কিভাবে ? !!!

এই হলো উদ্ভট হাবি জাবি রাবিশ বক্তব্য ও প্যাচাল এ সব পশ্চিমাদের !

تبصرہ ارسال

You are replying to: .